শাহীন মাহমুদ রাসেলঃ
প্রতিদিনের সংবাদপত্র খুললেই সবার আগে নজরে আসে সড়কে দুর্ঘটনার খবর। ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনা। আর যার পরিণতি মৃত্যু, পঙ্গুত্ব, আর সব হারানোর কান্না। এর কি কোন প্রতিকার নেই? এখনও কি সময় হয়নি সচেতন হওয়ার? এসব মৃত্যুর মিছিল কি দেখার কেউ নেই?
আতঙ্কের নাম এখন সড়ক দুর্ঘটনা। মহামারী আকার ধারণ করেছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক মহাসড়কে প্রতিদিন যে হারে দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে তা নিয়ে আতঙ্কিত ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ আর পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। সড়কে প্রাণহানির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা। সড়কে প্রাণহানির ঘটনায় ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে সাধারণ যাত্রীরা। ওঁৎ পেতে থাকা যন্ত্রদানবেরা সহজেই জীবনকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন ভেঙে গিয়ে বিষাদে পরিণত হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত পরিবারগুলো। যাত্রীরা সাধারণত আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে রাস্তায়। আমাদের দেশে যানবাহনে ভীতি নিয়ে আর কতকাল চলবে এ প্রশ্নেরও জবার জানা নেই কারও। বাহন নামে যন্ত্রাদানব একের পর এক কেড়ে নিষ্প্রভ নিরীহ মানুষের প্রাণ।
১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলা বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা ফিলিং ষ্টেশন এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও যাত্রীবাহী লেগুনা (ছারপোকা) মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নারীসহ ৭ জন নিহত ও ১০ আহত হয়েছে।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে চকরিয়ার হারবাং এলাকায় আবারো টমটম-কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় অাহত হয়েছে ৭ জন। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনা সাধারণ মানুষকে আতংকিত করে তুলছে। অদক্ষ চালক, অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।